যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় এক মাদ্রাসা কর্মচারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া এলাকায় চিত্রা নদী থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহতের নাম আসাদুজ্জামান (৫১)। গত মঙ্গলবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
লাশের গলা কাটা ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ বলছে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
নিহত আসাদুজ্জামান বাঘারপাড়া উপজেলার পশ্চিমা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার পশ্চিমা বলরামপুর আলিম মাদ্রাসার অফিস সহকারী ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত আসাদ দুই সন্তানের জনক ছিলেন।
নিহত আসাদুজ্জামানের চাচাতো ভাই নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে বাইসাইকেলে করে আসাদুজ্জামান উপজেলার নারকেলবাড়িয়া বাজারে যান। রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে আমরা কয়েকজন মিলে পায়ের চিহ্ন ধরে নদীর মধ্যে যেয়ে একটি বস্তা ভাসতে দেখতে পাই। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’
নাজিম উদ্দীন বলেন, এলাকার দুই নারীর সঙ্গে আসাদুজ্জামানের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে একবার ঝামেলাও হয়েছে। তবে কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না।’
বাঘারপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘আসাদুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে এবং মাথায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে দুই নারীর সঙ্গে আসাদুজ্জানের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সূত্রে জানা গেছে, নিহত আসাদুজ্জামান নীয়মিত মাদক গ্রহণ করতেন।