যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় দেবরের ছুরিকাঘাতে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি (২৪)। আজ রোববার সকালে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গতকাল সন্ধ্যায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হন জিনিয়া। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের জুলফিকার আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
বাঘারপাড়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ ওহিদুজ্জামান বলেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে জিনিয়াকে ছুরিকাঘাত করেন তাঁর দেবর মো. শাহাবুদ্দিন। আহত অবস্থায় তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকাল নয়টার দিকে সেখানে তিনি মারা যান।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার জিনিয়াকে মারপিট করেন দেবর শাহাবুদ্দিন। এ ঘটনা জানার পর তাঁর বাবা এসে তাঁকে নিয়ে যান। গতকাল শাশুড়ি ফোন করে জানান যে জিনিয়ার বড় ছেলে অসুস্থ। ওই সন্ধ্যায় তিনি বাবাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান। তিনি বাড়ি পৌঁছালে একটি ঘরে আটকে দেবর তাঁকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
পরিদর্শক শেখ ওহিদুজ্জামান বলেন, গৃহবধূ জিনিয়ার পিঠের আট স্থানে, বাম হাতের দুই জায়গায়, পেটে এবং বাম পায়ে মোট ১৩ স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় তুলির বাবা শহিদুল ইসলাম বাঘারপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, নিহত নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।