বাগেরহাটের রামপালে ১১ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার দায়ের মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ওলিয়ার রহমানকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার শরাফপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করল।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে শিশুটির এক মামা বাদী হয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ওলিয়ার রহমান ও মুদিদোকানি ফেরদৌস শেখসহ চারজনের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মামলা করেন। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল দুপুরে পুলিশ ফেরদৌস শেখ (১৮) নামের এক মুদি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ফেরদৌস শেখ রামপাল উপজেলার শরাফপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওলিয়ার রহমান স্থানীয় শরাফপুর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ। তাঁদের আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় তার মামা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। আমরা চারজনের মধ্যে মাদ্রসা অধ্যক্ষ ওলিয়ার রহমানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি দুজনকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করেছি। প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’
ফকিরহাটে নানাবাড়িতে থেকে রামপাল উপজেলার একটি মাদ্রাসার ছাত্রীনিবাসে থেকে পড়ালেখা করছিল শিশুটি। মাদ্রসার সামনের মুদিদোকানি ফেরদৌসের সঙ্গে মেয়েটির পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে ১১ এপ্রিল রাতে মুদিদোকানি ফেরদৌস কৌশলে মেয়েটিকে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন।