বাগেরহাটের কচুয়ায় ডাকাত সন্দেহে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তবে তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। আজ সোমবার ভোরে কচুয়া উপজেলার বারইখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় দুই গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা ডাকাত বললেও পুলিশের ভাষ্য, চুরি করতে এসে স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়ে ওই যুবক। পরে গণপিটুনিতে আহত অবস্থায় ভোরে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
আহতরা হলেন বারইখালি গ্রামের আব্দুল কাদের হাওলাদারের দুই ছেলে মোহিত হাওলাদার (৩২) ও মহাসিন হাওলাদার (৩৬)। তাঁদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় গ্রাম্যপুলিশ সদস্য কামরুল শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ভোর রাতের দিকে ৫-৬ জনের একটি ডাকাত দল বারুইখালি গ্রামের সোমেদ হাওলাদারের বাড়িতে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে। বাড়িতে সোমেদ হাওলাদার স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে থাকতেন। আগের দিন তারা একটি এনজিও থেকে ৫৫ হাজার টাকা তুলেছিলেন। ডাকাতেরা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা একজনকে ধরে পিটুনি দেয়। তবে মালামার উদ্ধার হয়নি।
কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জাকির হাওলাদার বলেন, ডাকাতরা বাড়িতে ডুকে সবাইকে জিম্মি করে নগদ প্রায় ৫৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যান। সে সময় বাড়ির সবার চিৎকারে স্থানীয় গ্রামবাসী ছুটে এসে ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। ডাকাত দলকে ধাওয়া করতে গিয়ে মাটিতে পড়ে এবং ডাকাতদলের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে স্থানীয় দুই যুবকও আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
কচুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সরদার ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়লে তারা ওই যুবককে ধরে গণপিটুনি দেয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে