নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় বাক্প্রতিবন্ধী এক কন্যাশিশু (১১) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে বলা হয়। শিশুটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণকারী চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাকে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা দরকার। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসার যে ব্যবস্থা রয়েছে, তা দিয়ে শিশুটির শরীরে অস্ত্রোপচার করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আজ বিকেল পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় শিশুটি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গাইনি বিভাগের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি দেখছেন। তা ছাড়া ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়েছে।
শিশুটির চাচাতো ভাই প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোন অনেকটা বাক্প্রতিবন্ধী। স্পষ্ট করে সব কথা বলতে পারে না। আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁর বোন বাড়ির সামনের রাস্তায় যায়। এ সময় তাকে পাশের বাড়ির মো. রাকিব (২৭) কৌশলে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তার ছোট বোন কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে ঘটনাটি জানায়।
এ বিষয়ে চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম খলিল প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটিকে নিয়ে তাঁর স্বজনেরা থানায় আসার পর অবস্থা দেখে তিনি হতবাক হয়েছেন। দ্রুত শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাকিবকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।