কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদি হাসান রাজুকে (২৯) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। একই ঘটনায় রাজুর বাবা আবদুল করিম (৫০) আহত হয়েছেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়নের অলিতলা গ্রামে রাজুর নানার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান রাজু ও তাঁর বাবা আবদুল করিম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর উপজেলার বাসতলী বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তাঁদের পাশেই সাত থেকে আটজন যুবক ধূমপান করছিলেন। রাজু একপর্যায়ে যুবকদের দূরে গিয়ে ধূমপান করার অনুরোধ করেন। রাজুর কথায় বখাটেরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। কিছু সময় পর যুবকেরা পাশের অলিতলা, নরসিংপুর, আরিফপুর, রাম্মহন ও পানিপাড়া এলাকা থেকে ২০ থেকে ২৫ জনকে নিয়ে এসে রাজু ও তাঁর বাবার ওপর হামলার চেষ্টা করেন। বাজারের লোকজনের সহায়তায় তাঁরা রক্ষা পান। পরে বাবাসহ রাজু অলিতলা গ্রামে তাঁর নানার বাড়িতে যান।
রাত ৮টার দিকে ছয় থেকে সাতজন যুবক মোটরসাইকেলযোগে রাজুর নানার বাড়িতে এসে রাজু ও তাঁর বাবা আবদুল করিমকে প্রথমে ছুরিকাঘাত পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই রাজুর মৃত্যু হয়। আবদুল করিমকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক যুবককে আটক করেছে।
ঘটনার পরপর কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দক্ষিণ সার্কেল) প্রশান্ত পাল, বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।