গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বখাটেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সাটিয়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করেছেন। আজ শনিবার পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
ওই কিশোরীর নাম শিমলা রানী দাস (১৪)। সে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বাজিতপুর দীঘিরপাড় এলাকার নিত্যানন্দ ঋষিদাসের মেয়ে। মা–বাবার সঙ্গে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাটিয়াবাড়ি এলাকায় ভাড়া থাকত। রাজেন্দ্রপুর উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া সীমা রানী তিন ভাইবোনের মধ্যে বড়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই তাঁর এক সহপাঠীকে জড়িয়ে এলাকার কিছু বখাটে তাঁকে অপবাদ দিত। অভিযোগে বলা হয়, সাটিয়াবাড়ি এলাকার চন্দন বাবুর ছেলে রাজকুমার চন্দ্র মানিক ও নৃপেন্দ্র চন্দ্র মনিদাসের ছেলে রিপন চন্দ্র মনিদাস প্রায় প্রতিদিন শিমলা রানীকে রাস্তায় অপবাদ দিত এবং উত্ত্যক্ত করত। সর্বশেষ ১১ এপ্রিল রাতে বাড়িতে এসে শিমলা রানীকে অপবাদ দিয়ে অপমানজনক কথা বলে উত্ত্যক্ত করে ওই দুজন। পরদিন মা–বাবা কাজে চলে যাওয়ার পর ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে শিমলা রানী।
নিহত শিমলার বাবা নিত্যানন্দ ঋষিদাস প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর থেকে বখাটেরা পলাতক। তারা পেশায় ইজিবাইকচালক। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল ওই বখাটেরা। তিনি বলেন, ‘অপবাদ-অপমান ও উত্ত্যক্ত করায় সে আত্মহত্যা করেছে। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মিয়া আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত বখাটেদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।