স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা

ফারদিনের বাসার নিরাপত্তারক্ষী পুলিশ হেফাজতে

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর কলাবাগানে স্কুলশিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি ফারদিন ইফতেখার ওরফে দিহানের বাসার নিরাপত্তারক্ষীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান প্রথম আলোকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আজ সোমবার বেলা একটার দিকে নিরাপত্তারক্ষী দুলালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণের পর ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে দুলাল পলাতক ছিলেন।

সাজ্জাদুর রহমান বলেন, নিরাপত্তারক্ষী আসামি নন। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। সে কারণেই তাঁকে ডেকে আনা হয়েছে। কোথা থেকে কীভাবে দুলালকে পাওয়া গেল, সে ব্যাপারে এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে চায়নি পুলিশ।

এদিকে এই মামলায় ফারদিনের তিন বন্ধুকে প্রয়োজনে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে গতকাল জানায় পুলিশ। ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কথা বলেছেন।

বৃহস্পতিবার ও লেভেল পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে (১৭) রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ সময় তার বন্ধু ফারদিন ও তাঁর (ফারদিন) তিন বন্ধুকে আটক করে পুলিশ। কলাবাগান থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই তিনজনকে ছেড়ে দেয়।

স্কুলছাত্রীর মা গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে ফারদিন ও তাঁর বন্ধু তাঁকে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তাঁরা সেখানে (ফারদিনের বাসা) ছিলেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে তিনি ফারদিন ও তাঁর তিন বন্ধুকে মামলায় আসামি করতে চান।

মেয়ের মৃত্যুতে তাঁর স্বামী একাধিকবার মূর্ছা যান। এই সুযোগে পুলিশ শুধু ফারদিনকে আসামি করে নিজেদের মনমতো বক্তব্য টাইপ করে ফারদিনের তিন বন্ধুর নাম বাদ দেয় এবং মামলায় বাদী হিসেবে তাঁর স্বামীর সই নেয়। ফারদিনের তিন বন্ধুর অভিভাবকদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কলাবাগান থানার পুলিশ এই কাজ করেছে।

স্কুলছাত্রীর মা ও বাবা জানান, তাঁরা ফারদিনের তিন বন্ধুকে আসামি করতে কলাবাগান থানায় সম্পূরক আবেদন করবেন। এ ছাড়া আদালতে পৃথক মামলা করারও পরিকল্পনাও আছে তাঁদের।

আসামি ফারদিন গত শুক্রবার ঢাকার সিএমএম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি এখন কারাগারে।