চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বন্ধুর হাতে এক কিশোর খুন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, নিহত কিশোরের নাম আবদুল মোমিন (১৪)। সে আলোকদিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সদর থানা–পুলিশ উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে আবদুল মোমিনের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় এক কিশোরকে আটক করেছে।
পুলিশ ও নিহতদের স্বজনেরা জানান, আবদুল মোমিন ও অভিযুক্ত কিশোর দীর্ঘদিনের ‘ঘনিষ্ঠ’ বন্ধু। সম্প্রতি প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মোমিন কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই দিন রাতে বাড়িতে না ফেরায় পারিবারিকভাবে খোঁজ করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে আকন্দবাড়িয়া গ্রামে নদীর ধারে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, প্রধান সন্দেহভাজন কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাতে মাথাভাঙ্গা নদীর তলদেশ থেকে আবদুল মোমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।