কক্সবাজার জেলা কারাগারে গত সোমবার সন্ধ্যায় মো. মোস্তফা নামে (২৫) এক হাজতির মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান কারারক্ষী আবু তাহেরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়। অপর দুজন হলেন সহকারী প্রধান কারারক্ষী ফখরুল ইসলাম ও কারারক্ষী বিল্লাল হোসেন। একই ঘটনায় কারারক্ষী জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) নেছার আলম বলেন, দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কারাগারের অভ্যন্তরে হাজতির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গতকাল মঙ্গলবার পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন ডেপুটি জেলার সাইদুল ইসলাম এবং অপরটির প্রধান কারা হাসপাতালের চিকিৎসক মো. শামীম রাসেল। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
মারা যাওয়া হাজতি মো. মোস্তফার বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম বশির আহম্মদ। কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন মোস্তফা। কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ মো. মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে গত ১৭ নভেম্বর কারাগারে পাঠায়।
মোস্তফা কারাগারের মাতামুহুরী ভবনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাজতি ছিলেন। সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে কারাগারের সব বন্দীকে ওয়ার্ডে লকআপ করা হয়। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মো. মোস্তফার মরদেহ পাওয়া যায় কারাগারের মাতামুহুরী ভবনের ছাদে যাওয়ার সিঁড়িঘরে, গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায়।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইটিসি) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, তিন দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত শেষ করবে। কমিটিতে পুলিশ ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে।