প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে নেতার ছবি জুড়ে ফেসবুকে পোস্ট

প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজার ছবি (বাঁয়ে) এবং ফটোশপ করে মাশরাফির স্থলে আওয়ামী লীগের নেতা আশরাফুর রহমানের ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ছবি
প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজার ছবি (বাঁয়ে) এবং ফটোশপ করে মাশরাফির স্থলে আওয়ামী লীগের নেতা আশরাফুর রহমানের ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি।  ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ছবি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুর রহমানের ছবি ফটোশপ করে প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে জুড়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। মো. নজরুল ইসলাম ব্যাপারী নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা গত বুধবার ছবিটি তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাংসদ ও ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার একটি ছবি ফটোশপ করে মাশরাফির স্থলে আশরাফুর রহমানের ছবি দিয়ে তা ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। এ কাজ করেন উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ব্যাপারী। তিনি ছবির সঙ্গে মন্তব্য লেখেন, ‘মায়ের কাছে সন্তান যেমন আদরের, তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আদরের হচ্ছেন আশরাফুর রহমান।’ পরে ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মাশরাফির ছবি ফটোশপ করে আশরাফুর রহমানের ছবি যুক্ত করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মীর তারেক তাঁর ফেসবুক আইডিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মাশরাফির ছবি এবং ফটোশপ করে আশরাফুর রহমানের ছবি যুক্ত করার নিন্দা জানিয়ে পোস্ট দেন। এ ঘটনার পর ফেসবুকে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়।

নজরুল ইসলাম ব্যাপারী বলেন, ‘আমি একটি ফেসবুক আইডিতে ছবিটি পেয়েছিলাম। তবে খেয়াল করতে পারছি না কোন আইডিতে পেয়েছি। আমি মনে করেছি ছবিটি সঠিক। ফটোশপ করা তা বোঝার উপায় ছিল না। তাই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম।’

আশরাফুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি। তাঁর ঘনিষ্ঠ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস শাহীন গতকাল শুক্রবার বিকেলে বলেন, আশরাফুর রহমান বিষয়টি জানতে পারার পর তাঁর ফেসবুকে এ ধরনের ছবি দিয়ে পোস্ট কারার নিন্দা জানিয়েছেন। কে বা কারা এসব করছেন, তা এখনো জানা যায়নি। অতি উৎসাহী কেউ এটা করতে পারেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ ধরনের নিন্দনীয় কাজ কে করেছেন, তাঁকে চিহ্নিত করা যায়নি। শনাক্ত করা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখেছি।’