কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বদিউদ্দিন পাড়া থেকে অস্ত্রসহ জামাল হোসেন(৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্যমতে, তিনি পুলিশের ওপর হামলা মামলার আসামি। তবে জামালের পরিবারের দাবি, পুলিশই অস্ত্র দিয়ে তাঁকে ফাঁসিয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক(এসআই) সুমন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামাল দুর্ধর্ষ ডাকাত। তিনি অস্ত্র নিয়ে বদিউদ্দিনপাড়া সড়কে অবস্থান করছেন এমন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাঁর কোমর থেকে একটি দেশি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।’ পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তারকৃত জামাল খুন, ডাকাতিসহ রাজাখালী পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক আইসি শহিদুল ইসলামের ওপর হামলা মামলার আসামি।
তবে জামাল হোসেনের মা উম্মে ছফা(৬৫) বলছেন, পুলিশই তাঁর ছেলেকে ফাঁসিয়েছে। তিনি বলেন, রাত তিনটার দিকে ঘরে ঢুকে পুলিশ আমার ছেলেকে আটক করে। ওই সময় আমি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলাম। আমার ছেলেকে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। ফাঁড়ি থেকে পেকুয়া থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ও তাঁকে অস্ত্র দেওয়া হয়নি। কিন্তু থানায় নেওয়ার পর পুলিশ জানিয়েছে, আমার ছেলেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর বলেন, ‘পুলিশ জামালকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে যখন দরজা খুলতে পারছিল না, তখন আমার সাহায্য নিয়ে দরজা খোলা হয়। জামালকে আটক করার সময় আমি নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সে সময় আমি কোনো অস্ত্র দেখিনি। পরবর্তীতে কেন তাঁকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তা আমি জানি না।’
জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে তো তাঁর কোনো শত্রুতা নেই। পুলিশ কেন তাঁকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে যাবে? জামাল রাজাখালী এলাকার দুর্ধর্ষ ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে খুনসহ ডাকাতি মামলা রয়েছে।’ শনিবার জামালকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।