দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোররাত চারটার দিকে উপজেলার শালখুড়িয়া ইউনিয়নের ছোট মাগুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত চার পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু গুলির খোসা ও দেশে তৈরি একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত দুজন হলেন রফিকুল ইসলাম (২৮) ও ওয়াজেদ আলী (৩০)। রফিকুল গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। ওয়াজেদ ঘোড়াঘাট উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের হামিদ আলীর ছেলে। পুলিশের দাবি, তাঁরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন।
আহত পুলিশ সদস্যেরা হলেন নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) রিমেল মানিক, কনস্টেবল তুষার ও কাদের। তাঁদের পুলিশ লাইন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান জানান, গতকাল সন্ধ্যায় রফিকুল ইসলামকে গাইবান্ধা সদর ও ওয়াজেদ আলীকে পীরগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ ভোরে ছোট মাগুরা গ্রামে তাঁদের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য ডাকাত সদস্যরা গুলি ছুড়তে থাকে এবং আটক ডাকাত সদস্যদের ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। পরে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকলে ডাকাতেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আটক দুজন নিহত হন। পুলিশ তাঁদের লাশ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত দুজনের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জসহ কয়েকটি থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ছয়টি মামলা রয়েছে।