ধরার জন্য ফাঁদ পেতেছিল পুলিশ। এ জন্য ক্রেতার বেশ ধারণ করেন নাটোরের লালপুর থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁদের কাছে ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিনজন। তাঁরা হলেন টিটু, ইছাহক ও ইয়াসিন। এই তিনজনের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয় সাত হাজার ৮০০টি ইয়াবা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে নাটোরের লালপুর উপজেলার উধনপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
লালপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে লালপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হোসেন ও খাইরুল ইসলাম ক্রেতা সেজে ছদ্মবেশে উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের টিটুর কাছে যান। টিটু উপজেলার উধনপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আলীর কাছ থেকে ইয়াবা এনে দেওয়ার কথা বলেন। পুলিশ তাঁকে নিয়ে নছিরার বিল এলাকায় গেলে রাত ১১টার দিকে ইয়াসিন নামে আরেক ব্যক্তি ২০০ ইয়াবা নিয়ে সেখানে আসেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক তাঁকে আটক করে। এসব ইয়াবা কোথা থেকে আনা হয়েছে জানতে চাইলে ইয়াসিন পুলিশকে জানান,একই গ্রামের ইছাহক আলীর বাড়ি থেকে ইয়াবা সরবরাহ করা হয়েছে। রাত ১২টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়াসিন ও টিটুকে নিয়ে ইছাহকের বাড়িতে যান। এ সময় ইছাহক পালানোর চেষ্টা করলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ইছাহক তাঁর বসতঘরের সানসেটের ওপর রাখা একটি বালতির ভেতর থেকে ৭ হাজার ৬০০টি ইয়াবা বের করে দেন। উদ্ধার হওয়া ইয়াবাসহ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে আটক রাখেন। আজ শনিবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা কিছুদিন হলো ইয়াবার চালান কার মাধ্যমে কোথা থেকে আসছে তা জানার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় মোমিনপুরের টিটুর কাছে ইয়াবা ক্রেতা হিসেবে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে ও মুঠোফোনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্য দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেষ পর্যন্ত ইছাহক নামের মূল হোতাকে আটক করা সম্ভব হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে লালপুর থানায় মামলা হয়েছে।