পুলিশের ওপর হামলার 'বোমার' সঙ্গে ফতুল্লার 'বোমার' সাদৃশ্য

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে আজ সোমবার সকাল থেকে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: প্রথম আলো
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে আজ সোমবার সকাল থেকে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এক বাড়িতে আজ সোমবার অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সামগ্রী উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সম্প্রতি ঢাকায় পুলিশের ওপর হামলায় ব্যবহৃত বোমার সঙ্গে উদ্ধারকৃত বোমার সাদৃশ্য পাওয়া গেছে।

মনিরুল ইসলাম আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, ফতুল্লার শিয়াচর এলাকায় একটি বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট। বিস্ফোরক উদ্ধারকারী দল ওই বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেছে। উদ্ধার করা বোমা ও বিস্ফোরক ধ্বংসের কাজ শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বেলা দুইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলছে।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে আজ সোমবার সকাল থেকে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: প্রথম আলো

মনিরুল ইসলাম বলেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল গতকাল রাতে ঢাকা থেকে যন্ত্রকৌশলী জামালউদ্দিন রফিককে (২৩) গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর বক্তব্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে তাঁর বড় ভাই আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ফরিদউদ্দিন রুমিকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। যে বাড়িটি ঘেরাও করা হয়েছে, মাঝে মাঝে সেখানে এসে থাকতেন তিনি। কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ভোর রাতে সেখানে পৌঁছায়। বাড়িতে পৌঁছে তারা বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সামগ্রীর আলামত পায়। এখন সেগুলো উদ্ধার করে ধ্বংস করার জন্য কাজ করছেন বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা। বাড়িটিতে ইতিমধ্যে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সেখানে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আটককৃতরা সবাই নব্য জেএমবি সদস্য। তাদের আরও বেশ কয়েকজন সহকারী আছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ওই বাড়ির মালিক জয়নাল আবেদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত একজন উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম)। তাঁর দুই ছেলে ফরিদউদ্দিন রুমি ও জামালউদ্দিন রফিক এবং ফরিদউদ্দিনের স্ত্রী অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা জান্নাতুল ফোয়ারা ওরফে অনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক সাজ্জাদ রুমন এ অভিযানের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, অভিযান এখনো চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে।