পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় পুলিশি অভিযান চলাকালে গণপিটুনিতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার জোড়গাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, তাঁদের মধ্যে একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। আরেকজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের শাহীন ওরফে হলকা শাহীন (৪৫) এবং অজ্ঞাত ঠিকানার মাছির উদ্দিন (৩৫)।
পুলিশ বলছে, শাহীনের বিরুদ্ধে থানায় দুটি হত্যা মামলাসহ অন্তত ছয়টি মামলা রয়েছে। মাছিরের ঠিকানা জানা যায়নি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা সম্পর্কে পুলিশ জানতে পারেনি।
পুলিশের ভাষ্য, গতকাল রাত ১২টার দিকে পুলিশ জানতে পারে, জোড়গাছা গ্রামে পুলিশের তালিকাভুক্ত কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। পুলিশের একটি দল সন্ত্রাসীদের ধরতে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ধরতে এলাকাবাসীও পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। শত শত এলাকাবাসী এ সময় মাছির উদ্দিনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। মাছিরের সঙ্গে থাকা তিন-চারজন কচুরিপানায় ভরা সেচখালে ঝাঁপ দেয়। সেখান থেকে এলাকাবাসী শাহীনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান উদ্ধার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
পুলিশ এলাকাবাসীর হাত থেকে উদ্ধার করে মাছির ও শাহীনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করে পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় তাঁরা মারা যান।
বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিল্লুর রহমান গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী শাহীনকে দীর্ঘদিন ধরে খোঁজা হচ্ছিল। শাহীনের সঙ্গে থাকা মাছিরও সন্ত্রাসী বলে আমরা ধারণা করছি। তবে তাঁর ঠিকানা এখনো পাইনি। তাই তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর সহায়তায় আমরা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে একটি শাটারগান পেয়েছি। তবে ধারণা করছি, তাঁদের কাছে আরও কয়েকটি অস্ত্র ছিল। সেচখালে ঝাঁপ দেওয়ার সময় তাঁরা হয়তো সেগুলো ফেলে দিয়েছেন। আজ সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হবে।’