পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা সদরের কন্দকপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে আজ সোমবার সকালে পুলিশ এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। নিহত গৃহবধূর পরিবারের দাবি, পারিবারিক কলহের জের ধরে তাঁকে হত্যার পর পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছিল।
নিহত গৃহবধূর নাম আমেনা খাতুন (২৫)। তিনি ওই গ্রামের জাহিদ হোসেনের স্ত্রী। ঘটনায় পুলিশ জাহিদ ও তাঁর মা রাশিদা খাতুনকে আটক করেছে।
স্থানীয় লোকজন ও নিহত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমেনা খাতুন উপজেলা সদরের ধলেশ্বর গ্রামের আমিন উদ্দিনের মেয়ে। প্রায় পাঁচ বছর আগে জাহিদের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে চার বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান আছে। তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পারিবারিক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে স্বামী ও শাশুড়ি তাঁকে প্রায়ই মারপিট করতেন। এ নিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে।
আমেনার মা মর্জিনা খাতুনের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই মা-ছেলে তাঁর মেয়েকে সহ্য করতে পারছিলেন না। কিছু হলেই গালিগালাজ ও মারপিট করতেন। আমেনার স্বামী আবার বিয়ে করবেন বলতেন। মা-ছেলে মিলে তাঁর মেয়েকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রেখেছিলেন। তিনি এই হত্যার বিচার চান।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে মেয়েটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে পিটিয়ে হত্যার পর পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গৃহবধূর মা বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।