পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা গ্রামে মো. হাসান শেখ (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত হাসান ওই গ্রামের আবদুস সোবাহান শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাসান একসময় ঢাকায় পোশাক কারাখানায় চাকরি করতেন। পাঁচ বছর আগে তাঁর মা মারা যান। মায়ের মৃত্যুর এক বছর পর তাঁর বাবাও মারা যান। এরপর থেকে হাসান বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এক বছর আগে তিনি মাদক মামলায় কারাগারে যান। কয়েক মাস আগে জামিনে বের হয়ে দিনমজুরের কাজ শুরু করেন। আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে প্রতিবেশী আবদুর রহমান তাঁর বাড়িতে যান ডাব পাড়ার জন্য। এ সময় তিনি হাসানের ঘরের দরজা খোলা দেখে উঁকি দিলে মেঝেতে তাঁর লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। দুপুরে এ ঘটনায় নিহত হাসান শেখের বোন খাদিজা বেগম স্থানীয় থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে লিখিত অভিযোগ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রতিবেশী বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধ বা পূর্বশত্রুতার জেরে হাসান শেখকে কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে। তবে শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেখে মনে হচ্ছে, হাসানের প্রতি দুর্বৃত্তদের ক্ষোভ ছিল। হাসান মাদকাসক্ত ছিলেন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে মাদক নিয়ে বিরোধের জেরে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত হাসান শেখের পিঠ, ঘাড় ও বুকে পাঁচটি ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।