চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) নারী প্রশিক্ষণার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কমিটি। আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু হাসান সিদ্দিকের নেতৃত্বে তদন্ত দলটি পিটিআইয়ে গিয়ে কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থীর বক্তব্য গ্রহণ করেন।
তবে দোল পূর্ণিমার ছুটির কারণে আজ পিটিআই ছুটি ছিল। প্রশিক্ষণার্থী ছিল কম। দুপুরে তদন্ত কমিটি গিয়ে কোনো নারী প্রশিক্ষণার্থীকে পায়নি। তাঁরা কয়েকজন পুরুষ প্রশিক্ষণার্থীর সঙ্গে কথা বলেন।
আবু হাসান সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, এই ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে প্রশাসন। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে দেখা হবে।
গতকাল চট্টগ্রাম প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক রাশেদা বেগমের নেতৃত্বে একটি দল পিটিআইয়ে গিয়ে তদন্ত করে আসেন।
পটিয়া পিটিআইতে নারী প্রশিক্ষণার্থীরা চার প্রশিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন দেবব্রত বড়ুয়া নামে অপর এক প্রশিক্ষক। গত শুক্রবার দেবব্রত ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে খোলা চিঠি লিখে এই অভিযোগ জানান। তাতে ৫০ প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষকদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ করেন। এরপর তিনি নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। গতকাল তিনি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
যে চার প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা হলেন শরীরচর্চা প্রশিক্ষক ফারুক হোসেন, চারু ও কারুকলার সবুজ কান্তি আচার্য, সাধারণ বিভাগের জসিম উদ্দিন ও আইটির রবিউল ইসলাম। গতকাল প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক সোলতান মিয়া তাঁদের পিটিআই থেকে প্রত্যাহার করে নেন।
আজ প্রথম আলোতে ‘৫০ জনকে যৌন হয়রানি, ৪ প্রশিক্ষক প্রত্যাহার’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।