ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় চুরি হয়ে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলসহ তিন ব্যক্তি আটক হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন বলেছেন, তিনি ৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে চুরির কাজে সম্পৃক্ত হন।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন হবিগঞ্জের মাধবপুরের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৩০), সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার আফজল মিয়া (২৫) ও বরইকান্দির রুবেল মিয়া (৩০)। আফজল ও রুবেল অটোরিকশা চালান।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাচ্চু ও তাঁর পাঁচ সহযোগী একটি অটোরিকশায় করে জুড়ী উপজেলায় যান। ওই দিন রাত পৌনে নয়টার দিকে তাঁরা উপজেলা সদরের ডাকঘর সড়ক এলাকা থেকে আদনান আহমদ নামের এক তরুণের মোটরসাইকেল চুরি করেন। পরে আদনান ও তাঁর বন্ধুরা ফেসবুকে মোটরসাইকেলটির নিবন্ধন নম্বর উল্লেখ করে একাধিক পোস্ট দেন। এ ছাড়া মুঠোফোনেও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে চুরির বিষয়টি জানান তাঁরা। বাচ্চু মিয়া মোটরসাইকেলটি চালিয়ে সিলেট নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা এলাকায় স্থানীয় লোকজন মোটরসাইকেলটির গতি রোধ করেন। তাঁরা চোরাই মোটরসাইকেলসহ বাচ্চুকে আটক করে মুঠোফোনে এর মালিক আদনানকে জানান। পরে আদনান ও তাঁর স্বজনেরা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এলাকাবাসী মোটরসাইকেলসহ বাচ্চুকে পুলিশে দেন।
বাচ্চু গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ফয়েজ নামের এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলটি বের করে তাঁকে দিয়ে সিলেটে নিয়ে যেতে বলেন। পারিশ্রমিক হিসেবে তাঁকে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি মোটরসাইকেলে চড়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন। আর ফয়েজসহ অন্যরা অটোরিকশায় করে সিলেটে ফেরেন।
এদিকে বাচ্চুর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই দিন রাতেই সিলেটে অভিযান চালিয়ে আফজল ও রুবেলকে আটক করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মোটরসাইকেল মালিক আদনান থানায় মামলা করেন।
জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, পলাতক ফয়েজকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে কাল শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।