পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মাসুদুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দিন ওরফে জুন্নুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, মামলায় নাম না থাকলেও ঘটনার পর থেকে শামসুদ্দিনের নাম আলোচনায় এসেছে। সিসিটিভি ফুটেজেও তাঁকে দেখা গেছে। ফলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে। ওসি আরও বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শিক্ষক মাসুদুর রহমান ৬ মে এইচএসসি পরীক্ষা পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষায় অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় দুই ছাত্রী তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হন। এর জের ধরেই ১২ মে দুপুরে তিনি হামলার শিকার হন। কলেজ থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হওয়ার সময় কয়েকজন যুবক তাঁকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই মারপিটের সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অভিযোগ ওঠে, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দিন জুন্নুনের ইন্ধন ও নির্দেশেই এ হামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আবদুল কুদ্দুস হয়ে বাদী গত বুধবার রাতে দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করে মামলা করেছে। মামলার পরপরই পুলিশ ঈশ্বরদী উপজেলার গকুলনগর গ্রামের সজল ইসলাম (২২) ও জেলা সদরের মালঞ্চি গ্রামের শাফিন শেখ (২১) নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।