অর্থ পাচারের মামলায় বহিষ্কৃত নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া, তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। মামলার পলাতক আসামি জোবায়ের আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ২৩ মে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।
অভিযোগপত্রভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা নূর।
অর্থ পাচারের মামলায় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দেওয়া অভিযোগপত্রের তথ্য বলছে, অবৈধভাবে পাঁচ কোটি টাকার মালিক হন পাপিয়ার স্বামী নরসিংদীর মফিজুর রহমান। এ টাকার উৎস যাতে কেউ জানতে না পারে, সে জন্য তা ব্যাংকে রাখেননি তিনি। নিজের বাসার খাটের নিচে এ টাকা তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন। বাসায় এত টাকা রাখার তথ্য স্ত্রী শামীমা নূর ওরফে পাপিয়াকেও জানাননি তিনি। তবে মফিজুর যখন ভারতে অবস্থান করেন, তখন পাপিয়া বাসার খাটের নিচে টাকা থাকার তথ্য জেনে যান। এ অবৈধ টাকা পরে খরচ করেন পাপিয়া।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন সম্প্রতি আদালতে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
মফিজুর-পাপিয়ার আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মক্কেলরা নির্দোষ। তাঁরা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন।
দুই বছর আগে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হন মফিজুর ও পাপিয়া।
অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে একই বছরের ১২ অক্টোবর মফিজুর ও পাপিয়াকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা একটি মামলায় এখন মফিজুর ও পাপিয়ার বিচার চলছে।