সোনা ব্যবসায়ী অনুপ বাউল মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে মাদারীপুরে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে পাঁচ মাস আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাঁর হদিস মিলছিল না। পরে গতকাল বুধবার মুন্সিগঞ্জের বোয়ালখালী বিসিক এলাকায় বালুর গভীর থেকে অনুপের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পিবিআইয়ের ধানমন্ডি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, গত ৪ জানুয়ারি সোনা ব্যবসায়ী অনুপ বাউল মাদারীপুর যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে আর আর ফেরেননি। স্বজনেরা তাঁর খোঁজ না পেয়ে ৫ জানুয়ারি সিরাজদিখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সিরাজদিখান থানা-পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এবং পিবিআই মুন্সিগঞ্জ জিডির তদন্ত করে। পরে অনুপের ছোট ভাই বিপ্লব বাউল গত ৩ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। একপর্যায়ে পুলিশ সদর দপ্তর পিবিআই ঢাকা জেলাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, প্রাপ্ত তথ্যউপাত্ত, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সন্দেহভাজন হত্যাকারী হিসেবে অনুপের ব্যবসায়ী অংশীদার রিপন মণ্ডলকে চিহ্নিত করা হয়। পরে রিপন ও তাঁর চাচাতো ভাই পীযূষ, নয়ন ও দিলীপকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা জানান, গত ৪ জানুয়ারি সকালে অনুপকে পাওনা টাকা পরিশোধ করা ও মাদারীপুরে সোনার গয়না পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কেরানীগঞ্জের জয়েনপুরে ডেকে নিয়ে আসেন নয়ন। এরপর তাঁরা রিপনের গ্যারেজে অনুপকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে লাশ ড্রামে ভরে রাখেন। পরে বিকেলে অটোরিকশায় করে ড্রামটি মুন্সিগঞ্জের বোয়ালখালী বিসিক এলাকায় বালুর মাঠের কাছে নিয়ে যান। সেখানে বালুর ১৬ ফুট নিচে লাশ পুঁতে রেখে আসামিরা চলে যান।
অনুপের সঙ্গে লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে রিপন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পিবিআই জানায়।