ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের আট নেতার ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়া শেষ হওয়ায় নির্বাচনের আগমুহূর্তে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একটি সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্স প্রোগ্রামে তাঁরা ভর্তি হন। ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল ওই প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়। কিন্তু তাঁদের কেউই তাতে অংশ নেননি। ভর্তি হওয়া একাধিক ছাত্র এবং ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতা প্রথম আলোর কাছে এ কথা স্বীকার করেছেন।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল ছাত্র সংসদের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১১ ফেব্রুয়ারি ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতা ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি হন। নির্বাচন করতে আগ্রহী এই ৩৪ জনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সম্পাদক ও সদস্য পদে নির্বাচনে আটজন অংশ নেন, বিজয়ী হন সাতজন। এ ছাড়া দুটি হল সংসদের ভিপি পদে অংশ নেন দুজন। এর মধ্যে একজন নির্বাচিত হন, অন্যজন পরাজিত হন। আরেকজন ছিলেন ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য।
সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্স প্রোগ্রামের নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথমে ভর্তির বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হবে। বিজ্ঞাপন অনুযায়ী নির্ধারিত আবেদনপত্রের মাধ্যমে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এসব পরীক্ষার ফল, আগের একাডেমিক ফল এবং কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে সমন্বিত ফল তৈরি করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে যৌথভাবে দুই বছর মেয়াদি এই প্রোগ্রাম চালু হয় ২০১৭ সালের মাঝামাঝি। ডাকসু নির্বাচনের আগে এই প্রোগ্রামের সর্বশেষ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে। ৩০ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষ হয় জানুয়ারিতে। আর ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে এসব শিক্ষার্থী ভর্তি হন ১১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার পর।
২০১৮ সালের নভেম্বরে ভর্তি পরীক্ষার সময় এই প্রোগ্রামের পরিচালক ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম (পরে ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ হন), সহকারী পরিচালক ছিলেন আবদুল্লাহ আল মাসুদ এবং চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন আবু তালেব।
গত ২৮ আগস্ট আবদুল্লাহ আল মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, নভেম্বরে জারি হওয়া ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তাঁদের ভর্তিপ্রক্রিয়া জানুয়ারি মাসেই শেষ হয়। ডাকসু নির্বাচনের আগমুহূর্তে ৩৪ শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি তাঁর জানা নেই। নিয়ম মেনে কেউ ভর্তি হয়ে থাকলে কমিটির সদস্য হিসেবে বিষয়টি তাঁর জানার কথা।
মাস্টার অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্টের পরিচালকের চলতি দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ওই সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। তবে পরীক্ষা ছাড়া কেউ ভর্তি হয়ে থাকলে তা অনিয়ম।
এই প্রোগ্রামের পরিচালক এবং অফিস সহকারী পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি হওয়া এসব শিক্ষার্থীর তালিকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে ছাত্রলীগের এই নেতাদের নামের সন্ধান পাওয়া যায় ডাকসুর হলভিত্তিক ভোটার তালিকায়। ভোটার তালিকায় এসব ছাত্রের নামের পাশে বিভাগের জায়গায় কোথাও ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স, কোথাও এমটিএম (মাস্টার অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট) উল্লেখ করা হয়েছে।
>ভর্তি বিজ্ঞাপন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগের ৩৪ নেতা ভর্তি হন
উপাচার্য ও ডিনের চিরকুটে ছাত্রলীগের ওই নেতারা ভর্তি হন
ভর্তি হওয়া নেতাদের মধ্যে আটজন ডাকসু ও হল সংসদে নির্বাচিত হন
গত ১১ মার্চ ডাকসু ও হল ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাস্টার অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের একজন অফিস সহকারী প্রথম আলোকে বলেন, তফসিল ঘোষণার পর ছাত্রলীগ নেতারা উপাচার্য বা ডিনের সই করা চিরকুট তাঁদের কাছে নিয়ে আসেন। এর ভিত্তিতেই তাদের ভর্তি ফরম ও টাকা জমা দেওয়ার রসিদ সরবরাহ করা হয়।
এসব ছাত্রলীগ নেতার বিষয়ে প্রোগ্রামের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রথম আলোর। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভর্তির পর থেকে ক্লাস বা পরীক্ষায় এই নেতাদের কেউই অংশ নেননি। প্রথম আলো কয়েকটি কোর্সের হাজিরা খাতার অনুলিপি সংগ্রহ করেছে, যেখানে এই নেতাদের নাম পাওয়া যায়নি।
ডাকসুর যেসব নেতার ভর্তি নিয়ে প্রশ্ন
ওই প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। তাঁদের অনেকেরই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় ছাত্রত্ব। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. রাকিবুল হাসান (শিক্ষাবর্ষ ২০০৯-১০)। ছাত্রলীগের বিগত কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসংস্থান সম্পাদক ছিলেন তিনি। গত ২৫ আগস্ট রাকিবুলের কাছে তাঁর ছাত্রত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ওই প্রোগ্রামের কোন ব্যাচের ছাত্র, তা বলতে পারেননি। এক প্রশ্নের জবাবে রাকিবুল বলেন, ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হয়েছেন। তিনি অনুষদের ডিন বরাবর আবেদন করেছিলেন।
সদস্য পদে নির্বাচিত হওয়া নজরুল ইসলামও ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি তিনি। নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তি হতে তাঁকে পরীক্ষা দিতে হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন পরবর্তী সময়ে প্রোগ্রামের পরিচালক ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিনের কাছে পাঠানো হয়। ডাকসুর সদস্য মুহা. মাহমুদুল হাসানও পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তবে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ভর্তির বিষয়টি স্বীকার করেননি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফ ইবনে আলী (শিক্ষাবর্ষ ২০১০–১১) এবং স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী (শিক্ষাবর্ষ ২০১১–১২)। মাস্টার অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্টে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই ভর্তি হয়েছেন বলে এ দুজন দাবি করেছেন। এই বিষয়ে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর (শিক্ষাবর্ষ ২০০৯–১০)।
তবে এই তিনজনও ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হননি বলে নিশ্চিত করেছেন ডাকসুর সদস্য নিপু ইসলাম। শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি ২৫ আগস্ট প্রথম আলোকে বলেন, তিনি, আরিফ, শাকিল, তানভীর ও নজরুল একসঙ্গেই ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁদের কাউকেই পরীক্ষা দিতে হয়নি।
এই সাতজনের বাইরেও ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল হক সরকার। ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি পদে নির্বাচন করে হেরেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহারিয়ার সিদ্দিক। এফ রহমান হলের ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম খান। এই তিনজনও ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই মাস্টার অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছিলেন। আর এই প্রোগ্রামে একইভাবে ভর্তি হওয়া প্রদীপ চৌধুরী ছিলেন ডাকসুর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি।
ভর্তি হলেও তাঁরা নির্বাচন করেননি
ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ভর্তি হওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে ২৩ জন রাজনৈতিক হিসাব–নিকাশের কারণে নির্বাচনে অংশ নেননি। এঁদের সবারই ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে এক থেকে পাঁচ বছর আগে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আছেন সহসভাপতি আওলাদ খান, আমিনুল ইসলাম, ইশরাত কাশফিয়া, মো. সোহান মিয়া ও ফুয়াদ রহমান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মো. আহসান হাবিব, আইনবিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. রাকিব হোসাইন, উপতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুল জব্বার, উপ–অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দিন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মো. জিতু, উপসাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক শরিফুল আলম, শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান ইয়াকুব, শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তাও এই প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছেন।
এ ছাড়া সাবেক নেতাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আদিত্য নন্দী, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মো. আল মামুন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. ইমরান খান, আইন অনুষদের সাবেক সভাপতি শরিফুল হাসান ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোতাহার হোসাইন ভর্তি হন।
যা বললেন ডিন ও উপাচার্য
পরীক্ষা ছাড়া ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান গত মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তির বিষয়ে তাঁর জানা আছে। ওই প্রোগ্রাম সন্ধ্যাকালীন হওয়ায় ভর্তির প্রক্রিয়াটি তাঁর জানা নেই। উপাচার্যের অনুমতি নিয়ে এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অনুষদের ডিনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
তবে অনুষদের ডিনের বক্তব্য জানতে চাইলে গত ২৮ আগস্ট এই প্রতিবেদককে তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে খোঁজখবর করছেন। আপনি ডাকসুর যেসব নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন, তারাও আমার কাছে এসেছিল। আপনি তাদের কাছে উল্টাপাল্টা কথা জিজ্ঞেস করেছেন। আপনি আমাদের ম্যালাইন করার জন্য কিছু একটা লিখতে চাচ্ছেন। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব না।’
ডাকসু নির্বাচনপ্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই ছাত্রলীগ বাদে অংশগ্রহণকারী বাকি সব ছাত্রসংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ আনেন। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি সম্পাদক পদের ১০টি এবং ১৩টি সদস্য পদের সব কটিতে ছাত্রলীগের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি দাবি করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে অনেক প্রশ্ন থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপ্রক্রিয়া অনেকটাই প্রতিযোগিতামূলক এবং বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তাই এ ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যায়ভাবে কেউ ভর্তি হয়ে থাকলে এর সুষ্ঠু তদন্ত হতে হবে। এ ছাড়া দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
আরও পড়ুন: