পরিত্যক্ত ভবনে চলে অসামাজিক কর্মকাণ্ড

আত্রাইয়ে রেলওয়ের পরিত্যক্ত ভবনের একটি। সম্প্রতি তোলা ছবি। প্রথম আলো
আত্রাইয়ে রেলওয়ের পরিত্যক্ত ভবনের একটি। সম্প্রতি তোলা ছবি।  প্রথম আলো

প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে নওগাঁর আত্রাইয়ে রেলওয়ের পরিত্যক্ত কয়েকটি ভবনে মাদক বিক্রি, সেবনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আহসানগঞ্জ স্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে রেলওয়ের পরিত্যক্ত ১৪টি ভবন। ব্রিটিশ আমলে সেখানে রেলওয়ের কর্মচারীদের থাকার জন্য এবং ভবন তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আত্রাই স্টেশনসহ ওই ভবনগুলো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এরপর থেকে সেখানে আর কোনো কর্মচারী বসবাস করেন না। স্থানটি নির্জন হয়ে পড়ে। এরপর জায়গাটি মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জনবসতি থেকে দূরে ও নির্জন এলাকা হওয়ায় দিনের বেলায় সেখানে শিক্ষার্থীরা গিয়ে আড্ডা দেয়। আর রাতের বেলায় মাদক সেবন ও বিক্রির পাশাপাশি চলে ভ্রাম্যমাণ যৌনকর্মীদের অবাধ চলাফেরা। অনেক সময় এসব ভবনে অপরাধীরা অবস্থান নিয়ে এলাকায় চুরি–ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসব ভবন সংস্কারও করছে না, আবার ভেঙেও ফেলছে না।

আত্রাই এলাকার ব্যবসায়ী নাহিদ হোসেন ও শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, ওই পরিত্যক্ত ভবনগুলোর কারণে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এগুলো দ্রুত অপসারণ করা না হলে অপরাধ কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে। এ বিষয়ে তাঁরা রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আহসানগঞ্জ স্টেশনের মাস্টার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পরিত্যক্ত ভবনে মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। মাদক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে নিরাপত্তার কথা ভেবে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না।’ সান্তাহার জংশন স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ‘ভবনগুলো ভেঙে ফেলার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি অচিরেই ভবনগুলোর বিষয়ে একটা সমাধান হবে।’

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন বলেন, তিনি এ থানায় নতুন এসেছেন। রেলওয়ের পরিত্যক্ত ভবনে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। ভবিষ্যতে সেখানে যাতে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড না চলে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে অভিযান চালানো হবে।