স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে জহিরুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবকের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী মোসলেম উদ্দিনকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জহিরুলের শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. রোশন আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম শৈশব থেকেই নিমসারে তাঁর মামার বাড়িতে থাকছেন। এখানে তিনি ট্রাক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিছুদিন ধরে জহিরুল ইসলাম পাশের গ্রামের আরেক ট্রাকচালক মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রীর (৩৩) সঙ্গে জহিরুলের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে জহিরুল ও মোসলেমের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
পুলিশ বলছে, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মোসলেম উদ্দিন কৌশলে জহিরুলকে ডেকে আনেন নিমসার ফিলিং স্টেশনের লাগোয়া গ্রামীণ হোটেলের ছাদে। এই সময় তাঁদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মোসলেম উদ্দিন ট্রাকচালক জহিরুল ইসলামের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় জহিরুল চিত্কার করে হোটেলের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলে উপস্থিত লোকজন পানি দিয়ে আগুন নেভান। পরে মোসলেম উদ্দিন পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে বুড়িচং উপজেলার দেবপুর পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। আহত জহিরুলকে প্রথমে কুমিল্লার ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় জহিরুলের ভাই মো. কালা মিয়া বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।