মেয়াদোত্তীর্ণ কসমেটিকস পণ্য টেম্পারিং করে পুনরায় বাজারজাত করার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত মঙ্গলবার রাতে ভাটারার সাঈদ নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের প্রধান সুধীর মণ্ডলের মালিকানাধীন ভবনের গুদাম থেকে ১০ কোটি টাকার বেশি ইয়ার্ডলি লোশন, পাউডার, সাবান এবং প্রসাধনীর গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ পরিবর্তনে ব্যবহৃত রাসায়নিক, কালি ও একটি যন্ত্র জব্দ করা হয়।
পুলিশ বলছে, এসপিএস করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১০ বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ এসব বিদেশি সব ব্র্যান্ডের পণ্য জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করে আসছিল। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—জালিয়াত চক্রের প্রধান শংকর মণ্ডল (৩৪), হারুন অর রশিদ (৪৫), কর্মচারী সবুজ আহমেদ (৩০), মনিরুজ্জামান (২৩) ও বীরেশ্বর মণ্ডল (৩৬)।
রাজধানীর মালিবাগ সদর দপ্তরের সিআইডি কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) শেখ রেজাউল হায়দার। তিনি বলেন, বৈধ আমদানি লাইসেন্সের মাধ্যমে দুবাইসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা বিশ্বের নামী-দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী বাংলাদেশে আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রি করে আসছে একাধিক প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে সুধীর মণ্ডল ও তার সহযোগীরা এসপিএস করপোরেশনের নামে কোম্পানি খুলে উইপরো এন্টারপ্রাইজ, হ্যানকেল কোম্পানির মাল বিপণন করে আসছে। তারা এসব পণ্য রাজধানীর গুলশান, বনানী ও উত্তরার অভিজাত এলাকার বিপণি বিতানসহ ঢাকার বাইরের জেলা শহরগুলোর বিভিন্ন দোকানেও বিক্রি করে আসছিল।
সিআইডির কর্মকর্তা রেজাউল হায়দার বলেন, বিএসটিআই-এর বিধিমালা ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে এসব পণ্য বিক্রেতার নিজ উদ্যোগে অথবা সরবরাহকারীর কাছে ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে ধ্বংস করে ফেলার কথা। কারণ মেয়াদোত্তীর্ণ বডি লোশন, সাবান, পাউডার, কসমেটিকস পণ্য ব্যবহারে ত্বক ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি বা জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও জানান, গতকাল বুধবার গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় প্রতারণার মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।