রাজবাড়ী সদর উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। দুজনকে আসামি করে সদর থানায় মেয়েটির বাবার করা মামলায় পুলিশ গতকাল শনিবার রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিলন মোল্লা (২৮)। তিনি পেশায় ঘোড়ার গাড়ির চালক। অপর আসামি রেজাউল বিবাহিত এবং পেশায় ঘোড়ার গাড়ির চালক। মেয়েটি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছ, গত শুক্রবার বিকেলে মেয়েটি বাড়ির পাশে মাঠে গবাদিপশুর জন্য ঘাস কাটছিল। এ সময় মিলন ও রেজাউল তাকে পাশের ভুট্টাখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটি এ ঘটনা বাড়িতে গিয়ে তার মাকে জানায়। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল বিকেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মিলন মোল্লা ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে রেজাউল ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বলে মিলন উল্লেখ করেন।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আলী আহসান তুহিন বলেন, ‘আমরা ধর্ষণের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন হাতে পেলে বিষয়টি সঠিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে গোসল করায় ও কাপড় পরিবর্তন করায় প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।’
রাজবাড়ী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, গতকাল রাতে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরপর অভিযান চালিয়ে মিলন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ অপর পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।