পঞ্চগড় পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর এবং এক পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ–সাতজন যুবককে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মামলায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি কর্মচারীকে আঘাত করে গুরুতর জখম এবং ক্ষতিসাধনের অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর দুজন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর সরকারি গাড়িতে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করছিলেন। বেলা ১১টায় পঞ্চগড় কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়ার সময় ওই ভোটকেন্দ্রের বাইরে অজ্ঞাতনামা পাঁচ–সাতজন যুবক গাছের ডাল দিয়ে তাঁর সরকারি গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙে ফেলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্য রবিউল ইসলাম গাড়ি থেকে নামতেই একজন যুবক একটি ডাল দিয়ে রবিউলকে পেছন দিক থেকে আঘাত করে পালিয়ে যান। এতে ওই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। গাড়িটি ভাঙচুরের কারণে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আককাছ আহমদ বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।