লোড করা আগ্নেয়াস্ত্র প্যান্টের পকেটে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক উপসম্পাদক মেশকাত হোসেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কয়েক বন্ধু। অসাবধানতায় ট্রিগারে হঠাৎ চাপ লেগে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন মেশকাত।
গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে মেশকাতকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান খান।
আহত মেশকাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ক্যাম্পাসে দায়িত্বরত একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত রাতে সূর্যসেন হলের ফটকের সামনে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন মেশকাত। এ সময় তাঁর পকেটে একটি অবৈধ অস্ত্র ছিল। একপর্যায়ে বিকট একটি শব্দ শোনা যায়। মেশকাতের ডান পা থেকে রক্ত ঝরতে দেখেন বন্ধুরা। মেশকাত তাঁদের জানান, তাঁর পকেটে থাকা অস্ত্রে চাপ লেগে গুলি বেরিয়ে ডান হাঁটুর কাছাকাছি একটি জায়গায় লেগেছে। পরে মেশকাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
গতকাল দিবাগত রাত পৌনে দুইটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে মেশকাতের অস্ত্রোপচার চলছিল।
সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, রাতে হলের ফটকে মেশকাতের সঙ্গে তাঁর দেখা হয় ৷ তখন মেশকাতের পা থেকে রক্ত ঝরছিল। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। তবে মেশকাত কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তা তাঁর জানা নেই।
সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে বিস্তারিত জানেন না। হলের আবাসিক শিক্ষকেরা খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
মেশকাত আগে সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা ছিলেন। হলের একটি কক্ষে ভাঙচুর ও চুরির ঘটনায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।