নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘটিত সহিংস ঘটনার প্রতিবেদন চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের এস এস খালেদ সড়কের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানের পর হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ইউএনডিপি ও ইউএনওমেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় ‘জেন্ডার অ্যান্ড ইলেকশন’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে।
১৪ নভেম্বর বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর পুলিশ ৩০ জনকে শনাক্ত করেছে। তাঁদের অনেকেই বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকেরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন না। সচিব বলেন, ‘কর্মশালায় প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি এসেছে। আমাদের আইনেও নেই। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে এটা এখন অসম্ভব, কারণ আমাদের দেশে একযোগে ৩০০ আসনে নির্বাচন হয়। যদি আমরা বিদেশে ভোট গ্রহণে ইভিএম পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারতাম, তা হলে হয়তো সম্ভব হতো।’
সচিব আরও বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমরা ভোটার করতে চাই। তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনাও আছে। জাতীয় নির্বাচনের পর কোনো একটা দেশে যাব, যেখানে বাংলাদেশিরা আছেন। সেখানে একটা পাইলট প্রকল্প করব। তারপর পুরোটা বাস্তবায়ন করতে হবে।’ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, শহর এলাকায় হবে। তবে কোথায় হবে তা নির্ধারণ হয়নি।
নয়াপল্টনের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের করা অভিযোগ বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এ ঘটনায় প্রতিবেদন পাঠাতে আইজিপিকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি আগামীকাল পাব। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তিনি ১৮ নভেম্বর মধ্যরাতের মধ্যে ব্যানার ফেস্টুনসহ প্রচারণা সামগ্রী সরিয়ে ফেলা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় মন্ত্রী-এমপিদের প্রটোকল পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা যে প্রার্থী, এটা আমরা বলতে পারি না।’
কর্মশালায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানু্জ্জামান, বেসরকারি সংস্থা ইলমার নির্বাহী প্রধান জেসমিন সুলতানা, চট্টগ্রামের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।