নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যা মামলার আসামি শিবিরকর্মী নজরুল ইসলাম ওরফে কানা নজরুল (২৫) নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে চারটার দিকে উপজেলার আমানউল্লাহপুর গ্রামের জনকল্যাণ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত নজরুল আমানউল্লাহপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে। তিনি স্থানীয় ছাত্রশিবিরের ক্যাডার পিয়াস বাহিনীর সেকেন্ড-ইন কমান্ড ছিলেন। গত রোববার রাতে শিবিরের হামলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব হত্যা মামলাসহ তিনটি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
পুলিশ বলছে, গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশের দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি ধামা, তিনটি ছোরা ও তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশীদ চৌধুরীর ভাষ্য, ছাত্রলীগের নেতা রাকিব হত্যা মামলার আসামিদের ধরতে থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি যৌথ দল আমানউল্লাহপুর গ্রামে যায়। রাত পৌনে চারটার দিকে পুলিশ ও ডিবির দলটি গ্রামের জনকল্যাণ এলাকায় অভিযানকালে শিবির ক্যাডার পিয়াস বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষে কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর হামলাকারীরা পিছু হটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনের লাশ পায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে শিবিরের কর্মী ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যা মামলার আসামি ‘কানা নজরুল’ হিসেবে শনাক্ত করেন।
ওসি হারুন-উর-রশীদ চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় পুলিশের দুই এসআইসহ ছয়জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নজরুলের লাশ থানায় রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।