নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও গণধর্ষণের ঘটনায় আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম ছালা উদ্দিন। এ নিয়ে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ফেনির সুলতানপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরিফ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ছালা উদ্দিন মামলার এজাহারভুক্ত ৯ নম্বর আসামি। তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন আসামির রিমান্ডের আবেদনের শুনানি আজ রোববার নোয়াখালীর ২ নম্বর আমলি আদালতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্যাতনের শিকার নারীর অভিযোগ, তিনি গত রোববার সকালে এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান। এ সময় কেন্দ্রে থাকা আওয়ামী লীগের কয়েকজন যুবক তাঁকে তাঁদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তাতে রাজি না হলে যুবকেরা তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ওই দিন রাত ১২টার দিকে ছালা উদ্দিন, সোহেল, বেচু, মোশারফসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল যুবক ঘরে ঢুকে প্রথমে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে মারধর করেন। পরে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ঘরের বাইরে পুকুরপাড়ে এনে গণধর্ষণ করেন।
এই নারীর দাবি, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই একই এলাকার চর জুবলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য রুহুল আমিনের লোক।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী (৪০) বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা প্রাথমিকভাবে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন:
নোয়াখালীতে ওই নারীকে গণধর্ষণের আলামত মিলেছে
গণধর্ষণের ‘ইন্ধনদাতা’ সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল গ্রেপ্তার
সুবর্ণচরের সেই নারীকে সান্ত্বনা দিয়ে কাঁদলেন ফখরুল
সুবর্ণচরের কালরাত
আমরা ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত: ড. কামাল
‘সুবর্ণচরের ঘটনায় আ.লীগ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে’