ফেনীতে ছাত্রীর গায়ে আগুন দেওয়া চারজনই ছিল বোরকা পরা

ফেনীর সোনাগাজীতে এক পরীক্ষার্থীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া চার দুর্বৃত্তই ছিল বোরকা পরা। এ কারণে তিনি কাউকেই চিনতে পারেননি। তবে চারজনের মধ্যে একজন নারীকণ্ঠে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে। বাকি তিনজন কোনো কথা বলেনি। ওই পরীক্ষার্থী এবার আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন।

ওই পরীক্ষার্থী ভাই আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সামনে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর তাঁর বোন তাঁদের এ কথা জানিয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ ওই পরীক্ষার্থী বর্তমানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এই ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

ওই পরীক্ষার্থীর ভাই বলেন, ঘটনার পর তাঁর বোন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু কথা বলেন। বোনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার পর একজন পরীক্ষার্থী তাঁকে বলে, তাঁর এক বান্ধবীকে কারা যেন ছাদে মারধর করছে। এটা শুনে তাঁর বোন ছাদে যায়। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, বোনের কথা শুনে মনে হয়েছে, বোরকা পরা চারজন মিলে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর যে তাঁকে ছাদে যেতে প্রলুব্ধ করেছে, সেও এদের সঙ্গে যুক্ত। তবে এদের পরিচয় জানা যায়নি। এরা নারীর বেশ ধরে পুরুষও হতে পারে বলে তাঁর ধারণা।

>প্রাথমিক খবরের ভিত্তিতে প্রথম আলো অনলাইনে অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থীর নাম–পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষার্থীর মায়ের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার কারণে ক্ষতিগ্রস্তের পরিচয় গোপন রাখা হলো। বি.স