কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ পর সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে রাব্বী মিয়া (২০) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের হাফানিয়া গ্রামের একটি বসতবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রাব্বী একই ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর বাবার নাম নিলু মিয়া।
পরিবারের সদস্য ও পুলিশ জানায়, রাব্বী পেশায় ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক। কয়েক বছর ধরে বাজিতপুর এলাকায় রিকশা চালাতেন। ৭ জুলাই বিকেলে তিনি রিকশা নিয়ে বের হন। মুঠোফোনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় ওই দিন সন্ধ্যায়। এরপর থেকে তিনি আর ঘরে ফিরে আসেননি এবং মুঠোফোনও বন্ধ থাকে। রাব্বীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে পুলিশকে জানানো হয়।
এই অবস্থায় আজ দুপুরে হাফানিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মোহনের বসতবাড়ি থেকে গন্ধ ছড়ায়। তথ্যটি পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। মোহনের বাড়ি লাগোয়া সাচ্চু মিয়া (১৮) নামের এক তরুণের বাড়ি। রাব্বীকে হত্যার সন্দেহে এলাকাবাসী সাচ্চুর বাড়িঘর ভাঙচুর চালান। তবে ভাঙচুরের সময় কেউ বাড়িতে ছিল না।
রাব্বীর বড় ভাই সাদেক মিয়া বলেন, ‘৭ জুলাই রাব্বীর গাড়ি রিজার্ভ হিসেবে ভাড়া নিয়েছিলেন সাচ্চু। নিখোঁজ হওয়ার পর আমাদের সন্দেহ সাচ্চুর দিকেই ছিল। পুলিশকেও সন্দেহের কথা জানিয়ে রেখেছিলাম।’
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, রাব্বীর গাড়িটি উদ্ধার হয়নি। সেটা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় রাব্বীর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হবে।