বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় নিখোঁজের চার দিন পর গত বুধবার সন্ধ্যায় তারিকুজ্জামান তালুকদার (১৮) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারিকুজ্জামান উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের মৃত বাদশা মিঞা তালুকদারের ছেলে।
তারিকুজ্জামানের নিখোঁজের ঘটনায় গত সোমবার থানায় তাঁর মা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। সেখানে অপহরণ বা মুক্তিপণের বিষয় উল্লেখ ছিল না। তবে লাশ উদ্ধারের পর তাঁর পরিবার পুলিশকে বলেছে, তারিকুজ্জামান নিখোঁজের পর অপরিচিত একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল।
তারিকুজ্জামানের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারিকুজ্জামান ঢাকায় চাকরি করেন। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য তিনি বাড়ি এসেছিলেন। গত শনিবার দুপুরে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। মধু আহরণে যাওয়া ব্যক্তিরা (মৌয়াল) সুন্দরবনের ভেতরে গত বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর লাশ দেখে বনকর্মীদের জানান। পরে বনকর্মীরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ লাশের পাশ থেকে তাঁর ব্যাগও উদ্ধার করে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, দড়ি দিয়ে তারিকুজ্জামানের দুই পা বাঁধা ছিল। তাঁর ব্যবহৃত লুঙ্গি দিয়েই তাঁকে একটি সুন্দরী গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। তাঁদের ধারণা, তাঁকে প্রথম দিনই হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে তিনি ঢাকা যাওয়ার জন্য ফাল্গুনী পরিবহনের টিকিট কেটে বাসের তত্ত্বাবধায়ককে বলেন, বাগেরহাট টার্মিনাল থেকে তিনি বাসে উঠবেন। এরপর তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে বাসস্ট্যান্ড ত্যাগ করেন। পুলিশ ওই মোটরসাইকেল চালককে খুঁজছে। ওই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
মুক্তিপণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি রেজাউল বলেন, ‘১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির তথ্যটি নিহতের পরিবার লাশ উদ্ধারের পর আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তাদের কাছে মুঠোফোনে এ-সংক্রান্ত কথোপকথনের রেকর্ড আছে বলেও তারা জানিয়েছে। এ বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করা হবে।’