রাজধানীর পান্থপথে রাস্তায় পড়ে থাকা নারীর লাশের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে তাঁর হত্যাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, অনৈতিক কাজের জন্য ওই নারীকে নিয়ে আসে খুনি। কিন্তু একপর্যায়ে নারীটির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হলে সে গলা টিপে হত্যা করে।
আটক ব্যক্তির নাম আনসার আলী। তাঁর বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরে। সাত থেকে আট বছর ধরে গ্রিন রোডের একটি বাসায় দারোয়ানের কাজ করেন। ওই বাড়ির পাশেই রাস্তার ওপর পড়ে ছিল অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ। পুলিশ বলছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আনসার আলী নারীটির লাশ টেনে সেখানে ফেলে যাচ্ছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা তিনি স্বীকার করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার মিশু বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, আনসার আলী দাবি করেছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তিনি বাসার সামনের রাস্তায় ছিলেন। তখন এই নারী রাস্তায় এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করছিলেন। একসময় তিনি তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে বাসার ভেতরে নিয়ে যান। পরে টাকা নিয়ে ঝগড়া বাধে তাঁদের মধ্যে। বনিবনা না হওয়ায় নারীটি চিৎকার করার চেষ্টা করেন। তখন বাসার লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে যাবে—এই ভয়ে তিনি তাঁকে গলাটিপে মেরে ফেলেন।
মিশু বিশ্বাস বলেন, হত্যার পর নারীর লাশটি টয়লেটেই ফেলে রাখেন আনসার আলী। এরপর রাত দুইটার দিকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে আসেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, নিহত নারীর একটি পরিচয় তাঁরা পেয়েছেন। তবে এখনো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটক আনসার আলীর বক্তব্যই সঠিক বলে তাঁরা ধরে নিচ্ছেন না। ওই নারীর সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিলো কি না, সেটিও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর মধ্যে নারীটির পরিচয় মিললে ঘটনা সম্পর্কে তাঁরা আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন বলে মনে করছেন।