নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিক্ষকের হাতে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার পর এবার একই ধরনের অভিযোগে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফতুল্লা উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর এলাকায় বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ওই অধ্যক্ষের মুঠোফোন ও কম্পিউটারে তল্লাশি চালিয়ে পর্নোগ্রাফি ভিডিও পাওয়া গেছে।
আটক করা অধ্যক্ষের নাম আল আমিন। বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া এলাকায়। তিনি বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
র্যাব-১১–এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলামের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার সংবাদ ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীর মা ফেসবুকে দেখছিলেন। তখন পাশে শুয়ে থাকা ওই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তার মাকে বলে, ‘এই শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু আমাদের মাদ্রাসার হুজুরকে কেন গ্রেপ্তার করা হয় না?’ এ কথা শুনে ওই শিশুর মা জানতে চান, ‘কেন, কী হয়েছে?’ তখন ওই তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তার মাকে বলে, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল আমিন মেয়েদের ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। পরে ওই ছাত্রীর মা বিষয়টি র্যাবকে জানান। র্যাব অনুসন্ধানে নেমে জানতে পারে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ওই অধ্যক্ষ মাদ্রাসার ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগও পাওয়া গেছে। এরপরই ওই অধ্যক্ষকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, মাদ্রাসার ভেতরে পরিবার নিয়ে থাকতেন অধ্যক্ষ আল আমিন। বাসায় তাঁর স্ত্রী না থাকলে বা মাদ্রাসা ছুটি হলে নানা কৌশলে অধ্যক্ষ আল আমিন ছাত্রীদের মাদ্রাসায় ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানি করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই অধ্যক্ষ শিশুদের ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন।
এ ঘটনা জানতে পেরে অধ্যক্ষের শাস্তির দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন।