লেপ–তোশক ব্যবসায়ী চান মিয়ার বাস কুড়াগাছা গ্রামে। যৌতুক নিরোধ আইনে হওয়া একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অথচ তাঁর নামে কোনো মামলা নেই। মামলা আছে একই উপজেলার ব্রাহ্মণবাড়ী গ্রামের চান মিয়ার নামে।
নামের মিলে বিনা দোষে তিন দিন জেলহাজতে থেকে আজ রোববার জামিনে মুক্ত হলেন কুড়াগাছার চান মিয়া। গত বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধুপুরের মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়ী গ্রামের জহুর উদ্দিনের ছেলে চান মিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী জামিলা বেগম গত বছর আদালতে একটি মামলা করেন। যৌতুক আইনে করা ওই মামলায় আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তারপর থেকে এই চান মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে পলাতক। মামলার বাদী তাঁর সন্তান নিয়ে ঢাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। আসামি চান মিয়া পেশায় কাঠমিস্ত্রী।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় মধুপুর থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবার কুড়াগাছা ইউনিয়নের কুড়াগাছা গ্রামের চান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাবার নাম জরু শেখ। গ্রেপ্তার হওয়া এই চান মিয়া পেশায় লেপ–তোশক ব্যবসায়ী। কুড়াগাছার চান মিয়াকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহাম্মেদ জানান, গ্রেপ্তার হওয়া চান মিয়াকে রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার বাদী জামিলা বেগম জানান, গ্রেপ্তার হওয়া চান মিয়া তাঁর মামলার আসামি নন। তিনি যে চান মিয়ার (তাঁর স্বামী) নামে মামলা করেছেন, তিনি পলাতক।
গ্রেপ্তার চান মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, তাঁর স্বামীর নামে কখনো কোনো মামলা হয়নি। নামে নামে মিল থাকায় পুলিশ ভুল করে তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছিল। রোববার আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন চান মিয়া। কারও বিরুদ্ধে তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামালের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ও জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পারসন শাহিনুল ইসলাম জানান, নামের মিল থাকা নিয়ে একটি কনফিউশন (সংশয়) সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক আসামি কে এবং সঠিক ঘটনা কী, তা বের করে আনার জন্য তদন্ত চলছে।