ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় শসাবাগানে মুরগি ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত চারজন।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার গাঙ্গাইল ইউনিয়নের উত্তর বানাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় মো. আবু সিদ্দিক (৫৫) নামে একজনকে আটক করেছে।
উত্তর বানাইল গ্রামের স্থানীয় লোকজন, জনপ্রতিনিধি ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মো. আবুল হাসেম (৬০) ও আবু সিদ্দিক প্রতিবেশী। তবে জমিজমার সীমানাসহ নানা বিষয় নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধিতার জের ধরে এর আগেও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মান্নানের ভাষ্য, ভোরে আবু সিদ্দিকের শসা খেতে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে একটি মুরগি ঢুকে পড়ে। ওই মুরগির মালিক আবুল হাসেম। খেতে মুরগি ঢোকায় শসার গাছের ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সিদ্দিকের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (২২)। জাহাঙ্গীর খেতে ঢিল ছুড়তে থাকেন। ঢিলের আঘাতে মুরগির একটি বাচ্চা মরে গেছে বলে অভিযোগ করেন হাসেমের পক্ষের কয়েকজন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আবুল হাসেম, তাঁর দুই ছেলে আলী উসমান (৪০), সুজন মিয়া (২৫), মেয়ে ঝর্ণা বেগম (২৭) এবং আবু সিদ্দিক ও তাঁর ছেলে ইলিয়াস (৩৫) গুরুতর আহত হন।
আহত লোকজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হাসেম মারা যান।
নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল হুদা বলেন, হাসেমের মৃত্যুর পর তাঁর পক্ষের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবু সিদ্দিককে আটক করা হয়। তাঁকে হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, শসাগাছের ক্ষতি হওয়ার ঘটনা নিয়ে এত বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যাবে তা ছিল অকল্পনীয়। এ ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।