ময়মনসিংহের নান্দাইলে ছেলের বিরুদ্ধে সৎমাকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের হালিউড়া গ্রামে আজ শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম মুক্তা বেগম (৩০)। তিনি ওই গ্রামের আবদুল হেলিমের দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন অভিযুক্ত জীবন মিয়া (১৯)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হেলিমের প্রথম স্ত্রীর সন্তান জীবন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে জীবনের দুই বোন বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। মুক্তা বেগম তাঁর সৎমেয়েদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন জীবন। এ নিয়ে আজ দুপুরে মুক্তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় জীবনের। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুক্তাকে আঘাত করেন জীবন। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে গ্রামের অন্য এক বাড়িতে আশ্রয় নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর।
আসমা বেগম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মুক্তা বেগমের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি মুক্তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উঠানে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় জীবনের হাতে ছুরি ছিল। এ সময় মুক্তাকে উদ্ধার করে পাশের গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিনারা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর শরীরে একাধিক গুরুতর জখম ছিল। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনসুর আহাম্মাদ প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত নারীর স্বামী আবদুল হেলিমকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।