নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দেড় লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে নকল সোনার গয়না দিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে এক যুবক পিটুনি খেয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে কনে পক্ষ রাজি না হওয়ায় বিয়ে না করেই যুবককে বাড়ি ফিরতে হয়। ঘটনাটি গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার নয়ামাটি গ্রামে ঘটে।
সংশ্লিষ্ট যুবকের নাম মো. হৃদয় মিয়া (২২)। বিয়ে পণ্ড হওয়ার পর সালিস বৈঠকের মাধ্যমে বর পক্ষকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন গ্রামের মাতব্বরেরা। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ধামগড় ইউনিয়নের এক তরুণীর (১৮) বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। ঘটকের মধ্যস্থতায় এই বিয়েতে কন্যাকে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার দেওয়ার চুক্তি হয়।
ওই বিয়েতে উপস্থিত থাকা একাধিক ব্যক্তি জানান, বিয়ের আগ মুহূর্তে কনে পক্ষ স্বর্ণালংকার দেখতে চান। পূর্বের কথা মতে ৪ ভরি সোনার গয়না বের করে দেয় বর পক্ষ। তবে গয়না দেখে তা নকল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কনের স্বজনেরা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে এসব গয়নার মান যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়। পরে মান যাচাইয়ের পর এক স্বর্ণকার গয়নাগুলো নকল বলে জানান। এ সময় গ্রামবাসী ও কনের স্বজনেরা বর ও ঘটককে পিটুনি দিয়ে বিয়ে বাতিল করে দেয়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এক সালিস বৈঠকে কনে পক্ষের ক্ষতি পূরণ বাবদ বর পক্ষ আগামী ৪০ দিনের মধ্যে দুই লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, নকল গয়না নিয়ে বিয়ে করতে আসায় বর ও কনে পক্ষের স্বজনেরা তর্কবিতর্ক জড়িয়ে পড়ে। পরে এই বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।