নওগাঁ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ল্যাপটপ, প্রিন্টার, পেনড্রাইভ, স্ক্যানার, ইয়ার ডিভাইসসহ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়। আজ শনিবার শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকা থেকে পাঁচজন এবং বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন নেসারুল হক (৩২), মিলন হোসেন (৩৫), মামুনুর রশিদ (৩১), মুক্তা আক্তার (২২), মোকসেদা (২৪), মহসিনা (২৩), মোরশেদুল আলম (৪৫), ফরহাদ হোসেন (২৮), তহমিনা আক্তার (২৭), আতিখা সুলতানা (২৭) ও সুইট পারভীন (২৬)।
২০১৪ সালে এই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। আজ এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বেলা দুইটার দিকে পুলিশ সুপার (এসপি) ইকবাল হোসেন তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি বলেন, নওগাঁ জেলা শহরের ২৫টি কেন্দ্রে আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ২০১৪ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী একটি চক্র টাকার বিনিময়ে উত্তরপত্র সরবরাহ কিংবা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের উত্তর বলে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এ খবর পেয়ে পরীক্ষা চলার মাঝামাঝি সময়ে শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। সে সময় পাঁচজনকে আটক করা হয় এবং সেখান থেকে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইয়ার ডিভাইসসহ ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে দুজন পরীক্ষা পরিদর্শক ও চারজন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
এসপি বলেন, ‘এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে নওগাঁর স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কয়েকজন রাজনীতিকের নাম উঠে এসেছে। অভিযানের খবর পেয়ে তাঁরা সবাই সটকে পড়েছেন। তবে অচিরেই তাঁরা ধরা পড়বেন বলে আমাদের বিশ্বাস।’
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।