ঢাকার ধামরাইয়ে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সুয়াপুর ইউনিয়নের কুটিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ওই ব্যক্তির ছেলেকে আটক করেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম আবুল হোসেন (৫০)। আটক ছেলের নাম লিটন।
ধামরাই থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে বছর দেড়েক আগে আবুল হোসেনের স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। এর মাস ছয়েক পরে মাজেদা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। মাজেদার আগের ঘরে ১০ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে খাবার শেষে স্ত্রী ও ওই মেয়েকে নিয়ে আবুল হোসেন ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু রাত ১০টার দিকে মাথায় কোপ দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকেরা জানান, দায়ের কোপে আবুল হোসেনের মাথা ও গালের একাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান।
আবুলের স্ত্রী মাজেদা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, রাতে খাবার শেষে তিনি স্বামী আর মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ শব্দ শুনে লাইট জ্বালিয়ে দেখেন আবুল হোসেনের মাথা কাটা। এ সময় তিনি ঘর থেকে ছায়ার মতো কাউকে বের হতে দেখেন।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘খুনি কীভাবে ঘরে ঢুকলেন কিংবা আগে থেকেই তিনি ঘরে লুকিয়ে ছিলেন কি না, এসব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্ত ও আগের কিছু ঘটনায় মনে হয়েছে লিটন তাঁর বাবাকে হত্যা করে থাকতে পারেন। এ কারণে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাঁকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’