শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সালিসের মাধ্যমে এ ঘটনা মীমাংসা করার উদ্যোগ নেওয়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যান, দুই ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেছেন। গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল সাতটার সময় শিশুটি (৮) তার ছোট ভাইকে নিয়ে উপজেলার মৌয়াকুড়া গ্রামের জামে মসজিদের পাশের মক্তবে পড়তে যায়। বৃষ্টির থাকায় অন্য শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়নি। এ অবস্থায় মক্তবের শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম আজিজুল হক (৬০) শিশুটিকে মক্তবে বসতে বলে তার ছোট ভাইকে নাশতা আনতে বাড়িতে পাঠান। এ সময় ওই শিক্ষক শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসী ইমামকে মক্তবে অবরোধ করেন।
পরে নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী দেওয়ান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহজাহান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুরুজ আলী, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আজাহার আলী, মৌয়াকুড়া গ্রামের মাতব্বর ফুল মাহমুদ ও ইসমাইল হোসেন সালিসের মাধ্যমে ইমামকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তাঁকে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এ বিচার শিশুটির পরিবার মেনে নেয়নি। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির মা মামলা করার পর পুলিশ ইউপি সদস্য সুরুজ আলী ছাড়া বাকিদের গ্রেপ্তার করে।