ঢাকার নবাবগঞ্জে ধর্ষণের শিকার একটি মেয়েকে বিদ্যালয়ে যেতে বারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার মেয়েটির মা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
মেয়েটি (১৫) নবাবগঞ্জ উপজেলার বাগমারা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী। প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ২০ জুন দোহারের এক তরুণ মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এ অভিযোগে ওই দিনই মেয়েটির মা দোহার থানায় একটি মামলা করেছেন।
মেয়েটির মা বলেন, ধর্ষণের ওই ঘটনার পর তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এরপরও তিনি মেয়েকে লেখাপড়া করাতে চান। কারণ, পড়ালেখা করতে পারলেই সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে বলে তাঁর বিশ্বাস। সম্প্রতি বাগমারা উচ্চবিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ জন্য গত ৯ জুন মেয়ের বকেয়া বেতন, জরিমানা, কোচিং ফি, পরীক্ষার ফিসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য পাওনা তিনি পরিশোধ করে দিয়েছেন। ১১ জুলাই মেয়েটি পরীক্ষা দিতে বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম তাকে পরীক্ষা দিতে না দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেন। পরে তিনি (মেয়েটির মা) মেয়েকে বিদ্যালয়ে নিয়ে যান। এ সময় প্রধান শিক্ষক তাঁর কক্ষে তাঁদের ডেকে নিয়ে যান। বলে দেন, এই মেয়েকে আর এই স্কুলে পড়ানো হবে না। সুতরাং, তাকে যেন আর বিদ্যালয়ে না পাঠানো হয়।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাগমারা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, এমন ঘটনা আমার জানা নেই।’ তাহলে তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হলো না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর জবাব আপনাকে দেব না।’
মেয়েটির ঘটনা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছে উপজেলা প্রশাসন, থানা-পুলিশ ও উপজেলা শিক্ষা অফিস। নবাবগঞ্জের ইউএনও এইচ এম সালাউদ্দিন মনজুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শোনামাত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছি। মেয়েটির লেখাপড়ার ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’