শরীয়তপুরে এক গৃহবধূ (৩৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার পর স্বামী তাঁকে মৌখিক তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চার সন্তান নিয়ে দুঃসহ পরিস্থিতিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী এই নারী।
জেলার ভেদরগঞ্জের একটি গ্রামে ২১ মার্চ ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে ২৭ মার্চ তিনি মামলা করেছেন। গতকাল বিকেল পর্যন্ত আসামিদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখীপুর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভেদরগঞ্জের ওই গ্রামে এক নারীর বাড়িতে ২১ মার্চ একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূও তাতে অংশ নেন। গভীর রাতে বৈঠক শেষে সবাই চলে যান। এ সময় গৃহকর্ত্রীর সহযোগিতায় ওই গৃহবধূকে বাড়িটির একটি ঘরে আটকে ধর্ষণ করেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি জানাজানি হলে গৃহবধূর স্বামী তাঁকে মৌখিক তালাক দিয়ে চার সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন। গৃহবধূ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহম্মেদকে জানান। ইউএনও তাঁকে মামলা করার জন্য থানায় পাঠান। এরপর সখীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তিনি। মামলায় জমির মাল ও তাঁকে সহায়তাকারী নারীকে আসামি করা হয়েছে। দুজনই পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
গৃহবধূ বলেন, তিনি পরিচিত এক ব্যক্তির (মামলার প্রধান আসামি) আমন্ত্রণে ওই বাড়িতে বৈঠকে গিয়েছিলেন। বৈঠক শেষে ‘কিছু কথা আছে’ বলে তিনি তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন। সরল বিশ্বাসে অপেক্ষা করার একপর্যায়ে তিনি তাঁকে ঘরে আটকে ধর্ষণ করেন। পরে বাড়িতে ফিরলে স্বামী ওই বৈঠকে কেন গেছেন তা জানতে চান। পরে স্বামী তাঁকে মৌখিক তালাক দিয়ে সন্তানদেরসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনাটি জেনে ওই নারীকে ইউএনওর কাছে পাঠানো হয়।
সখীপুর থানার ওসি এনামুল হক বলেন, পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। তালাকের ব্যাপারে ওই নারী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনকে স্বামীর সঙ্গে বসে সমঝোতা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী যাতে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও সাব্বির আহম্মেদ।