ধর্ষণের কথা ফাঁস করতে চাওয়ায় স্কুলছাত্রীকে হত্যা করা হয়: র‌্যাব

মঙ্গলবার রাতে র‌্যাবের এক যৌথ অভিযানে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হালিশহরে পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের পর হত্যায় জড়িত অভিযোগে আলমগীর মিয়া (৪৯) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাতে র‌্যাবের এক যৌথ অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, গত রোববার চট্টগ্রামের হালিশহরে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরদিন ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে হালিশহর থানায় মামলা করেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার স্কুলছাত্রী তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। তার বাবা পেশায় রিকশাচালক, মা পোশাকশ্রমিক। ঘটনার দিন দুপুরে তার মা–বাবা বাড়িতে ছিলেন না। পোশাকশ্রমিক মা দুপুরের খাবার খেতে এলে তার দুই সহপাঠী জানায়, মেয়েটি স্কুলে যায়নি। পরে ওই ছাত্রীর বড় ভাই প্রতিবেশী আলমগীরের তালাবদ্ধ বাসায় লাইট ও ফ্যান চালু দেখে সন্দেহ করেন। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ বাড়ির মালিককে জানানো হয়। ওই দিন রাত ৯টার দিকে দরজার তালা ভেঙে আলমগীরের ঘর থেকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও ধর্ষণের আলামত দেখেছেন তাঁরা।

আলমগীরের বরাত দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, ঘটনার দিন সকালে ওই স্কুলছাত্রী কোচিং শেষে বাসায় আসে। তখন আলমগীর কৌশলে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটি আলমগীরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে মেয়েটি মা–বাবাকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলমগীর ওই স্কুলছাত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাসায় খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যান।

খন্দকার আল মঈন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর র‍্যাবকে বলেছেন, আগে পোশাক কারখানায় কাজ করলেও বর্তমানে তিনি বেকার। আগেও তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর পালিয়ে ধামরাই, সাভার, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জ এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।