সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের একটি গ্রামে কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২০ অক্টোবর ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রাম্য সালিসে বিচার না পেয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মামলাটি করা হয়। পরে ওই দিনই একমাত্র আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সনদ আদিত্য (৩০)। আজ শনিবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার মামলার পর কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের কথা বলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়।
এজাহারের বরাত দিয়ে ধরমপাশা থানা-পুলিশ জানিয়েছে, আসামি ধর্ষণের ঘটনার আগে ২ থেকে ৩ মাস ধরে কিশোরীকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে কথা বলতেন। তিনি প্রায়ই ওই কিশোরীর বাড়িতে আসা–যাওয়া করতেন।
২০ অক্টোবর সকালে ওই কিশোরীর প্রতিবেশী প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে যায়। এ সময় পাহারা দেওয়ার জন্য তারা কিশোরীকে তাদের বাড়িতে রেখে যায়। দুপুরে ওই বাড়িতে যান সনদ আদিত্য। একপর্যায়ে কিশোরীকে বিয়ে করার কথা বলে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি।
লোকলজ্জার ভয়ে দুই দিন ঘটনাটি গোপন রাখে কিশোরী। এরপর তার চাচিকে বিস্তারিত জানায়। একপর্যায়ে কিশোরীর বাবাও ঘটনাটি জানতে পারেন। পরে এ নিয়ে গ্রাম্য মাতবরদের কাছে গিয়ে বিচার চান তিনি। কিন্তু তা না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধরমপাশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, মামলার পরই ঘটনার তদন্তকাজ শুরু হয়েছে।