সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননার মন্তব্য করার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোরে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁকে মেস থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওই শিক্ষার্থীর নাম জয়দেব চন্দ্র শীল। তিনি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী। জয়দেবকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় মানববন্ধন করেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গতকাল শনিবার রাতে একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ভিডিওচিত্রের নিচে ধর্মীয় অবমাননাকর মন্তব্য করেন জয়দেব চন্দ্র শীল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদের পর রাতেই তা সরিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। পরে রোববার ভোরে তাঁকে ঠাকুরপাড়া মেস থেকে ধরে নিয়ে আসে কতিপয় শিক্ষার্থী। তাঁকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে থানায় জয়দেব চন্দ্র শীল বলেন, ‘আমার ভুল বুঝতে পেরে আমি সেটা মুছে দিই। আমি এর জন্য সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জয়দেবকে কুমিল্লার ঠাকুরপাড়ার একটি মেস থেকে আমরা আটক করি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আবু তাহের বলেছেন, ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগ প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদনে প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষার্থী জয়দেব চন্দ্র শীলকে আজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে।